13.8 C
Rajshahi
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

Buy now

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

নির্বাচনের সময় ‘পূর্ণ ক্ষমতা’ চায় ইসি

print news

অনলাইন ডেস্ক : আইনের প্রয়োগ হয় না দাবি করে নির্বাচনের সময় পুরোপুরি ক্ষমতা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের সময় ইসি কর্মকর্তারা যেন বাধাগ্রস্ত না হন এবং কেউ যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারেন— নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে এমন সুপারিশ করেছে করেছে ইসি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল মতবিনিময় করে এই প্রস্তাব দেয়।

ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে এটি মনে রাখতে হবে যে, এখানে অনেক ভালো জিনিসও আছে। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে যে দুর্বলতা আছে— আমরা সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। হস্তক্ষেপ কোথা থেকে কীভাবে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনকে কেউ হস্তক্ষেপ করে, এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি।

সচিব বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন একা করে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সব অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে এবং নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে সংবিধান ও আইনে— সেই ক্ষমতা যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়, আইনের প্রয়োগ কিন্তু পুরোপুরি হয় না। আইনের প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কর্মকর্তারা কোনও ধরনের কোনও কর্তৃপক্ষের বাধাগ্রস্ত না হন, অন্য কেউ যাতে এখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, আমাদের পক্ষ থেকে সেই সুপারিশ আছে।

তিনি বলেন, আরেকটা হলো নির্বাচনি ব্যয় ও নির্বাচনি অপরাধের বিচার যাতে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অন্য কোথাও যাতে চলে যেতে না পারে, সেই সুযোগ যেন না থাকে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় কোনও কুকর্ম করে থাকলে পরবর্তী সময়েও যেন বিচার করা যায়, সেই ক্ষমতা যেন ইসির থাকবে, সেই সুপারিশও করেছি। এছাড়া আমাদের মিডিয়া যাতে নিরপেক্ষ আচরণ করে, যখন যেটা সহজ সেটা যাতে না করা হয়। ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ বলা, সেটা আমরা আশা করি। সবাই নিরপেক্ষ থাকলে সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারবিষয়ক কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবের নেতৃত্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। কী বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার এবং অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার, সে মতামত নিয়েছি। ওনারা অনেকগুলো বিষয় আলোকপাত করেছেন।

কমিশন প্রধান বলেন, একটা বিষয় সুস্পষ্টভাবে এসেছে। সেটা হলো— আমাদের আইনকানুন বিধিবিধানের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো দূরীভূত করা দরকার। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রয়োগ। নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান ও আদালতের মাধ্যমে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের একটা রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অন্তর্নিহীত ক্ষমতা আছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে তারা বিধি বিধানের সঙ্গে সংযোজনও করতে পারে৷ তবে এটা প্রয়োগের সমস্যা ছিল। এই সমস্যাটা দূরীভূত করতে হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ