14.8 C
Rajshahi
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

Buy now

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালকের লাইসেন্সও নবায়ন হয়নি: র‌্যাব

print news

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় তিনটি গাড়িকে ধাক্কা দেওয়া বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ওই বাসচালককে আটকের পর তার বরাতে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিন র‌্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, বাসটি অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন। পরে দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক।

এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনকে আটক করে র‍্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার লাইসেন্স নবায়ন ছিল না এবং তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দেয় বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের চারজনসহ মোট ছয়জনের প্রাণহানি হয়। আহত হয়েছেন আরও চারজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।

এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।

সম্পর্কিত সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ