নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ের দায়ে হল থেকে আজীবন বহিষ্কৃত ১৬ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ সলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়। ঘটনায় জড়িতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে বুধবারের অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ ও ২৩৪তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ১৬ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে আজীবন বহিষ্কার ও নিষিদ্ধের শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শাস্তি প্রত্যাহার হওয়া ১৬ শিক্ষার্থী হলেন- মো. পাবন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমেদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামিম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরিফুল ইসলাম, অনিক দাস, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে নবীন এক শিক্ষার্থীকে সৈয়দ মুজতবা আলী হলে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ২২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই ১৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
তবে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ঘটনার পুনঃতদন্তের আবেদন করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট রিভিউ কমিটি গঠন করেন কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতেই এ রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়। রিভিউ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রত্যাহার করে। পূর্বের যে তদন্ত প্রতিবেদন তা অসঙ্গতিপূর্ণ। সে কারণে এটি সঠিক মনে হয়নি। পূর্বের শাস্তি পক্ষপাতিত্বমূলক ছিল। তাই রিভিউ কমিটি পুনরায় তদন্ত করে সুপারিশ করেছে।’