নিজস্ব প্রতিবেদন : বিএনপি চেয়ারপার্সন, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা বেগম জিয়াকে ক্ষমতার দম্ভে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে জোরপুর্বক বের করে দিয়েছিলো খুনি হাসিনা। আর তারুন্যের অহংকার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা ও সেই মামলায় রায় দিয়ে সাজা প্রদান করেছে। শুধু তাই নয়, তাকে মেরে ফেলার জন্য অমানবিক নির্যাতন করেছিলো পতিত সরকারের দোসর আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য তারেক জিয়া বর্তমানে সুদুর লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখান থেকে তিনি বিএনপিকে পরিচালনা করছেন বলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
বিএনপি নেতা এ্যাডভোকট শফিকুল হক মিলন আরো বলেন, বেগম জিয়াকে শুধু বাড়ি থেকে বের করেই ক্ষান্ত হয়নি ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা। তাকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে টাকা আত্মস্বাতের মিথ্যা মামলা দিয়ে সাড়ে ছয় বছর জেলে আটকিয়ে রেখেছিলো। বেগম জিয়াকে মেরে ফেলার উদ্যোশ্যে বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি এই স্বৈরাচার খুনি হাসিনা। সেই ভারতের দালাল বাংলাদেশের অবৈধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বাড়িঘর নয় দেশ থেকে পালিয়ে প্রানে বেঁচেছে। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেননা।
মিলন আরো বলেন, পতিত সরকারের আমলে আইন শৃংখলাবাহিনীকে যেমন একদলীয় করে ফেলেছিলো, তেমনি আদালতকে করেছিলো মুজিবিয় কোর্ট। হাসিনার নির্দেশেই সকল রায় হতো বলে জানান তিনি। পতিত সরকারের আমলে দেশে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। গুম করা হয়েছে ৭৪৬ জনকে। আর এক লক্ষ বিশ হাজার মামলায় প্রায় পাঁচ লক্ষ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। দেশে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের এমন কোন নেতা নাই যার নামে একটি মামলা নাই। আর যাদের নামে মামলা হয়নি সে সকল নেতা আসলে কোন দলের তার বুঝতে কারো বাকী নাই বলে উল্লেখ করে সময়ের মৌমাছি হত সাবধান থাকার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
পতিত সরকারের আমলে দেশের মানুষের মৌলক অধিকার ভোটের অধিকার হরন করেছে। সর্বদা একতরফা নির্বাচন করে নিজে হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাইনয় ১৯৯৬ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে যান। কিন্তিু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর থেকে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিলন বলেন, ঘুনে ধরা রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজাতে এবং খুনি হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারন করতে ২০২২ সালে তারেক রহমান ২৭ দফা একটি রাষ্ট্র সংস্কার দফা দেন। সেইসাথে এই দফা নিয়ে জনগণের মতামত নেন। পরে এটা ৩১ দফায় উন্নিত হয়। এতে করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯ দফার কোন ক্ষতি বা পরিবর্তন হয়নি। তিনি সে সময়ে দেশের এবং দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এই ১৯দফা দিয়ে ছিলেন। অত্র ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩১ দফা প্রচার করার লক্ষে এই ধরনের কর্মসূচী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দেশ এখন অন্তরবর্তীকালীন সকারের অধিনে চলছে। বিএনপি এই সরকারকে সমর্থন করে। সেইসাথে সহযোগিতাও করে আসছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া ইউয়িনের শীতলাই স্কুল মাঠে দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক এনামুল হক কনক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদেওে সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি রাজশাহী আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহজাহান আলী ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শওকত আলী, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মাস্টার, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক শামীম রেজা, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান দুলাল, পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আনারুল ইসলাম, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, রাজু আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী সদস্য মাজদার রহমান, সদস্য আবুল কাশেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আকতারুল জামান, সিরাজুল ইসলাম, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজ, ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন, তরিকুল ইসলাম সাগর ও অনন্ত। সভা পরিচালনা করেন দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব নওশাদ আলী।
এছাড়া দামকুড়া ইউনিয়ন ও পবা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নিহত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ, আহত এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।