
রাবি প্রতিনিধি দুর্জয় : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার (আরইউমুনা) কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫-২৬ ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শুভ্রদেব চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে ফাইনান্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী চয়েস তালুকদার।
শনিবার (৮ই মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের টিচার্স লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত রাবি ছায়া জাতিসংঘের সাধারণ বার্ষিক পরিষদে ১৪ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও রাবি লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. পারভেজ আজহারুল হক।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি মোসাঃ মমতারিনা খাতুন তমা, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল বারি তাহসিন এবং হাসিনুর রহমান হিমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাত জাহান শৈলী। এছাড়াও সংগঠনটি পরিচালনার জন্য সাত জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। পরিচালকবৃন্দরা হলেন ওমর ফারুক, ইয়াসিন আরাফাত, মুকিত আলম, সুমাইয়া আক্তার আলো, আফ্রিদা বিনতে ইকবাল, প্রনব কুমার সাহা, নাবিল হাসান এবং মশিউর রহমান।
বার্ষিক কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার ইমন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইশরাত জাহানসহ অন্যান্য সদস্যরা।
দায়িত্ব গ্রহণের পর সংগঠনটির নব-নির্বাচিত সভাপতি শুভ্রদেব বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি প্রত্যেক বছর বিভিন্ন কনফারেন্স এবং দক্ষতা উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে৷ এরই ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে আগামীতে রাবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থা তাদের অগ্রগতি এবং কার্যক্রম বজায় রাখতে নতুন নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ নিরলস প্রচেষ্টা করে যাবে বলে তিনি ব্যাক্ত করেন।
সাধারণ সম্পাদক চয়েস তালুকদার বলেন, “সংগঠনটি শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বিভিন্ন সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে সংগঠনটি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নেও কাজ করে থাকে৷ এসময় তিনি বলেন সংগঠনের সফলতা নির্ভর করে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে। আশা করি ভবিষ্যতে সংগঠনটিকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংস্থা (আরইউমুনা) ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের মাঝে কূটনীতি চর্চার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে আসছে।