26 C
Rajshahi
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

Buy now

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

পবায় আলোর উঠানের প্রথম পাঠক জেলা প্রশাসক

print news

স্টাফ রিপোর্ট : রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসেই এখন থেকে চোখে পড়বে একটি পাঠাগার। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলোর উঠান’। ব্যতিক্রমধর্মী এ পাঠাগারের সারি-সারি তাকে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বই। তাক থেকে বই নিয়ে পড়ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আসা সেবাপ্রার্থীরা। পড়া শেষে আবার বই রেখেও দিচ্ছেন যথাস্থানে। পবা উপজেলায় আসা সেবাপ্রার্থীদের বইমুখী করে তুলতে উপজেলা চত্বরে এই পাঠাগার করেছেন ইউএনও সোহরাব হোসেন।

এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পাঠাগারের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার। তিনি ছিলেন এই পাঠাগারের প্রথম পাঠক। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসার গোল ঘরের পাশে এই নান্দনিক পাঠাগার করা হয়েছে। সেখানে সারি সারি তাকে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বই। উদ্বোধনের পরপরই উপজেলায় আগত বইপ্রেমী সেবাপ্রার্থীরা ভিড় করছেন পাঠাগারে। কেউ বই পড়ছেন, আবার কেউ দেখছেন।

উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের সরিষাকুড়ি গ্রাম থেকে সেবা নিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামসুজ্জোহাকে দেখা যায় পাঠাগারে। তিনি বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ইউএনও’র একটি মহৎ উদ্যোগ। আমি উপজেলায় একটি কাজে এসেছিলাম। মানুষের অনেক ভিড় থাকায় কাজটি করতে দেরি হবে। ভাবছিলাম চায়ের স্টল থেকে চা খেয়ে আসি। বের হওয়ার সময় চোখে পড়ল পাঠাগারটি। তাই বাইরে সময় নষ্ট না করে যতক্ষণ সময় পেয়েছি বই পড়ছি।
কথা হয় নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুদ্দিন প্রামাণিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে তরুণ প্রজন্মসহ সবাই ব্যস্ত ভার্চুয়াল জগতে। অনলাইন জগতে অনেকেই হচ্ছেন বিপথগামী। ঠিক এমন সময় সেবাপ্রার্থীদের বইমুখী করে তুলতে ইউএনও গড়ে তুললেন উন্মুক্ত পাঠাগার। এ জন্য তাকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

ইউএনও সোহরাব হোসেন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন কাজে প্রতিদিনই অনেক মানুষ আসেন। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, সেবা নিতে আসা অপেক্ষারত মানুষ গল্পগুজব করে অলস সময় কাটান। অনেকেই মোবাইল হাতে নিয়ে ভার্চুয়াল জগতে ঝুঁকে থাকেন। তাই আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে সেবা নিতে আসা এসব মানুষ যাতে অলস সময় না কাটান। তাদের বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আমি উন্মুক্ত পাঠাগার করে দিলাম।’

পাঠাগারের উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, ‘এখন থেকে উপজেলায় সেবা নিতে আসা সবার জন্য পাঠাগার উন্মুক্ত। আমগাছের নিচে পুকুর পাড়ে খুবই মনোরম পরিবেশে এই পাঠাগারটি পাঠকদের আকৃষ্ট করবে। এই পাঠাগার সেবাপ্রার্থীদের সময় কাটানোর সুন্দর স্থান হয়েই থাকবে।’

পাঠাগারের উদ্বোধন শেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। এছাড়াও এদিন পবা উপজেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, সুধীজন, শিক্ষক-ছাত্র ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসব অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহরাব হোসেন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদ হাসান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাবলিহা আনবার, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল হক মিলন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো আবুল কালাম আজাদ, পারিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদ, নওহাটা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ মকবুল হোসেন, পবা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম, সহসভাপতি সরকার দুলাল মাহবুব ও জাহিদ হাসান পলাশ, সদস্য সবুজ ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সম্পর্কিত সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ