নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের নেতা–কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। দুই পক্ষই তাদের সবার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের ভবানীপুর দাখিল মাদ্রাসা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে মাদ্রাসা চত্বরে সুলতানুল ইসলাম তারেকের আগমন উপলক্ষে ছোট একটি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছিল। শরিফ উদ্দীনের অনুসারীরা গিয়ে এতে বাধা দেন এবং কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। এ সময় তারেকের অন্তত চারজন কর্মী-সমর্থককে পিটিয়ে আহত করা হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে যান সুলতানুল ইসলাম তারেক।
তারেক যাওয়ার পর তার কর্মী-সমর্থকেরা শরিফ উদ্দীনের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হন। ওই ঘটনার পর সুলতানুল ইসলাম তারেক শীতবস্ত্র ও ক্যালেন্ডার বিতরণ করেন। তখন আর কোনো বাধার সম্মুখীন হননি তিনি। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর তানোরে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে গেলে তার বহরে হামলা হয়েছিল।
শরিফ উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তানোর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব শরীফ উদ্দিন মুন্সি বলেন, সুলতানুল ইসলাম তারেক শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন, ভালো কথা। কিন্তু তিনি স্থানীয় বিএনপির নেতাদের দাওয়াত দেননি। ফলে তারা সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে ছোট একটা ঘটনা ঘটেছে।
সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারী স্থানীয় বিএনপি নেতা শামসুল ইসলাম বলেন, এখানে আজ আমাদের সুলতানুল ইসলাম তারেক সাহেবের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু মেজর শরিফের অনুসারীরা ভাঙচুর করেছে। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে হামলা খুবই নিন্দনীয়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা এখনো ফিরে আসেনি। তারা ফিরে এলে ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।