নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। এ সময় গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবি ভিসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকালে শরীয়তপুর শহর পৌরসভা অডিটোরিয়ামে জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, শহীদদের স্পিরিটকে ধারণ করা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকে যারা বেগবান করেছে তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। গণঅভ্যুত্থানকে সফল করার জন্য বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে যারা অবদান রেখেছেন তাদেরকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমরা যদি প্রশ্ন করতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উপাচার্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনি গণঅভ্যুত্থানে কি ভূমিকা রেখেছে। তাহলে কোন উত্তর কেউ দিতে পারবে না। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অবদান রাখার পরেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ না দেওয়াকে আমরা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছি। এ ছাড়া আন্দোলনে ভূমিকা রেখে জাতীয়তাবাদী আদর্শের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনীহা প্রকাশ করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তালবাহানা করছে।
যে সকল শিক্ষক ছাত্রদের খুনী হাসিনার গুলি থেকে বাঁচাতে বুক পেতে দিয়েছে তাদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, যেসকল ছাত্র সংগঠন জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে তাদের অবদানকে ইতিমধ্যে খাটো করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গণঅভ্যুত্থানে ২ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মধ্যে শহীদ মুগ্ধ, শহীদ আবু সাঈদ এবং শহীদ ওয়াসিমকে আইকনিক শহীদ হিসেবে এদেশের ছাত্র-জনতা গভীরভাবে মনে রেখে স্মরণ করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা করছে না। পাঠ্যপুস্তকে শহীদ আবু সাঈদ এবং শহীদ মুগ্ধের নাম উল্লেখ করা হলেও শহীদ ওয়াসিমের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কেন বাদ দেওয়া হয়েছে। সে ছাত্রদলের নেতা ছিলো তাই।
শরীয়তপুর জেলা যুবদলের সভাপতি আরিফুজ্জামান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান এবং কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এবং জেলার নেতারা।
এ সময় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ সরকার। এদের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছর লড়াই সংগ্রাম করে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রেখেছে। সামনে আরও আন্দোলন আছে। আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণদের এগিয়ে এসে সকল কলুষিত মানুষজনকে বর্জন করতে হবে। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত তাদের জন্য সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।