নিজস্ব প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না এবং আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, সময় আসলে দেখা যাবে কোন কোন দলের নিবন্ধন থাকে। যারা থাকবে তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না সময় আসলে দেখা যাবে। সেজন্য কাজ করছে সিইসি।
শনিবার (১১ জানুয়ারী) সকালে সিলেট সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘আমাদের সংস্কার কমিশন হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এখনো পাইনি। প্রতিবেদন পেলে তারা কী কী সুপারিশ দেয় তা পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার পাঁচ ধাপের ব্যবস্থা। একদিনে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুপারিশ অনেকে করছেন। কিন্তু এটা বাস্তবসম্মত নয়। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গেও সম্ভব নয়। এটা থিওরিটিক্যালি সম্ভব হলেও বাস্তবায়নযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন কবে হবে এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
সিইসির ভাষ্য, ‘১৬ ডিসেম্বরের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে টাইমফ্রেম দিয়েছেন, তা মাথায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী নির্বাচন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আর জাতীয় নির্বাচন ইভিএমে হবে না। এমন কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’
তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদে মানুষের ভোগান্তি যাতে কমে, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো এড্রেস করছি। যারা দুর্নীতিতে জড়িত ছিল, প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দিচ্ছি না, দিবো না। কেউ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে ছাড় দিবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শতভাগ বিশ্বাসী। কিন্তু একটা বুথে অনেক সাংবাদিক ঢুকে গেলে একটু সমস্যা হয়। আমরা একটা নীতিমালা ঠিক করে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবো। আমাদের সব কাজ স্বচ্ছ এবং এটা স্বচ্ছই রাখতে চাই।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিতে হবে তফশিল ঘোষণার আগেই তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। অনেকেই ইতোমধ্যে ভোটার হয়েছেন, বাকিদেরও নিবন্ধনের উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রথম বছরে শতভাগ সম্ভব না হলেও আমরা যাত্রা শুরু করতে চাই’, যোগ করেন এ এম এম নাসির উদ্দীন।